আমার ভাগ্যেই লেখা ছিলো শিশু সন্তানের করুন মৃত্যু, তাই হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বছরের শিশুকে হারিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বাবা মুদি দোকানি ইমরান হোসেন।
রোববার (২১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় রিকশায় থাকা মায়ের কোল থেকে পড়ে নাবিলা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শিশুটির মরদেহ নিতে এসে এভাবেই কথাগুলো বলেন ইমরান হোসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার চার সন্তানের মধ্যে নাবিলা ছিলো সবার ছোট। বড় সন্তান নাঈম কুয়েত থাকে। আমি শিশু সন্তান ও স্ত্রী নাজমা বেগমকে নিয়ে আদাবর মুনসুরাবাদ হাউজিং এলাকায় থাকি।
দুর্ঘটনার সময় আমি মুদি দোকানে ছিলাম। শশুরের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে নাবিলার মরদেহ দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। নিউমার্কেট থেকে আমার স্ত্রী ও শ্যালক রাসেল রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় আমার স্ত্রীর কোলে ছিলো শিশু সন্তান নাবিলা। এসময় রিকশাটি মোহাম্মদপুর আরমান হাসপাতালের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি পিকআপ ভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে সবাই রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায়। পরে রিকশার চাকা চলে যায় আমার শিশুর উপর দিয়ে। পরে নাবিলাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মায়ের কোলে নিরাপদে থাকা আমাদের শিশু সন্তানের এভাবে মৃত্যু, আমার ভাগ্যেই লেখা ছিলো।
ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে শিশু নাবিলার মরদেহ নিয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাটের হুদ গ্রামে উদ্দেশে রওনা হয়েছে পরিবার।
হাসপাতালে সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্তের সময় দেখা যায় মাথায় আঘাতের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন মীর জানান, শিশু নাবিলার মৃত্যুর ঘটনায় তার মামা রাসেল বাদী হয়ে নিরাপদ সড়ক আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় পিকআপ চালক আবদুল হামিদ (৩৫) আসামি করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন