মালয়েশিয়ার মত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ থাইল্যান্ডেও চালু হয়েছে সেকেন্ড হোম প্রকল্প। আর এসব দেশে বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ টানতে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে এভাবে অর্থ পাঠানোর কোন সুযোগ নেই ব্যাংকিং নীতিমালায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, এদেশ থেকে অর্থপাচারকে উৎসাহিত করছে সেকেন্ড হোমের মত সুযোগ। অর্থপাচাররোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ তাদের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমের বিজ্ঞাপন। যেখানে নিজের ব্যবসা বাণিজ্য ও সম্পদের ভবিষ্যত নিরাপত্তার বিবেচনায় দেয়া হচ্ছে দেশটিতে বিনিয়োগের পরামর্শ। মালয়েশিয়ায় এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বাংলাদেশী সেকেন্ড হোমের সুযোগ নিয়েছে। নতুন খবর হলো এ অঞ্চলের আরেক দেশ থাইল্যান্ডও বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের আকৃষ্ট করতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ও বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির স্থানীয় একটি পত্রিকায় দেখা যায় থাইল্যান্ড অথোরিটি অব ট্যুরিজম ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগে ২০ বছর মেয়াদি ভিসা দিচ্ছে। এছাড়া ১০ ও ৫ বছর সহ কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসাও আছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশের মত দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রজেক্ট হোক আর থাইল্যান্ডেই হোক এগুলো যে তৈরি করা হয় তা আসলে বিনিয়োগের নামে অর্থ পাচারের সহজ উপায়।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর রাজী হাসান বলেন, 'আমাদের এখান থেকে বাইরে কেউ জমি কিনবে বা বিনিয়োগ করবে তা আইনত নিষিদ্ধ।'
সেকেন্ড হোমের জন্য ১৫ থেকে ৮০ লাখ টাকার প্রয়োজন হয় বলে জানা যায়, ফেসবুকের কয়েকটি পেইজ এ । একটি পেজ এ বলা হয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে পাঠাতে হবে টাকা। অর্থাৎ টাকা যাবে হুন্ডিতে । দেশ থেকে প্রতিবছর এসব পথে টাকা পাচারের পরিমাণ কম নয় বলে মনে করেন টিআইবি'র এ কর্মকর্তা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দুদক এরা যদি যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর রাজী হাসান বলেন, 'পাচার হওয়া অর্থ চিহ্নিত করা হয়েছে। দুদকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছে।'
সেকেন্ড হোমের মত প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থপাচার রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণা বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন