যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। রাজধানীতে সৃষ্ট তীব্র যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে ঈদযাত্রীদের।
রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া থেকে ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট)'র উদ্দেশে বাসা থেকে রওনা দিয়েছেন তৌফিক আহমেদ। তিনি ব্রেকিংনিউকে বলেন, ‘রাত ৮টায় লঞ্চ ছাড়বে। সাড়ে ৫টায়ও ঘাটে পৌঁছাতে পারিনি। তিনটায় বাসা থেকে রওয়ানা দিয়ে নর্থসাউথ রোডের জ্যামে আটকে আছি। ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ থাকে, তাই আগেভাগে গিয়ে জায়গা নেয়ার কথা চিন্তা করছিলাম।’
রাস্তায় যানজট থাকায় অনেককেই আবার দেখা গেছে গাড়ি থেকে নেমে পায় হেঁটে সদরঘাটের দিকে ছুটতে।
সদরঘাটগামী তাদের একজন মাসুম পারভেজ ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘ভাই কথা বলার সময় নাই। তাড়াতাড়ি গিয়ে লঞ্চে জায়গা নিতে হবে। যানজটের কারণে বাস থেকে নেমে রওনা দিয়েছি। জানি না কি আছে কপালে।’
মোহাম্মদপুরের আদাবর থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে বাসা থেকে রওনা দিয়েছেন জসিম শেখ। সিদ্দিক বাজার এসে জ্যাম দেখে তিনিও দুপায়ের ভরসায় হেঁটে রওনা দিয়েছেন সদরঘাটের উদ্দেশে। কথা হয় তার সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘সব সময় এই পথে জ্যাম থাকে। ঈদেও এই সমস্যার সমাধান হয় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে না থেকে পায়ে হেঁটে তাই রওনা দিতে বাধ্য হয়েছি। জানিনা তারপরও সময় মতো পৌঁছুতে পারবো কিনা।’
যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে আবার অনেকেই পাঠাও এর মোটর সাইকেল নিয়ে টার্মিনালগুলোর দিয়ে ছুটে যাচ্ছেন।
তবে পরিবার কিংবা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই ঈদযাত্রায় যারা সামিল হয়েছেন তুলনামূলকভাবে তাদের ভোগান্তি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের কাছ থেকে দ্বিগুণ কোথাও কোথাও তারও বেশি ভাড়া হাঁকানো হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে তবু স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন