দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় পাসের হার গতবারের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। পাশের হারের পাশাপাশি কমেছে জিপিএ ৫-এর সংখ্যাও।
গত বছরের চেয়ে এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৯০ জন কমেছে। বেড়েছে ফেল করার সংখ্যা। বোর্ডের পূর্বের সকল রেজাল্টের চেয়ে এবার সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান ফলাফল বিষয়ে বলেন, গত বছরের ফলাফলের চেয়ে এবারের ফলাফল আরও খারাপ হয়েছে। পরীক্ষায় জিপ্এি-৫ কমেছে। ফেলের সংখ্যাও বেড়েছে। এবার শিক্ষাবোর্ডে ফেল করেছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৫৬জন। এর ম্যধ্য বিষয়ভিত্তিক শুধু ইংরেজীতে ফেল করেছে ৩৯ হাজার ৪৬৫ জন। একটি বিষয়ে এত ফেল করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের অভাব থাকতে পারে। এ থেকে উত্তরণের জন্য কয়েকদিনের মধ্যে আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো এবং বিভিন্ন কলেজের ইংরেজী শিক্ষকদের নিয়ে তাদের পাঠদান করা কিভাবে সহজ করা যায়, তা নিয়ে কর্মশালা করা যায় কিনা চিন্তা করা হচ্ছে।
খারাপ ফলাফলের আরেকটা কারণ হতে পারে এবার শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে কঠোরভাবে খাতা দেখা হয়েছে। এরপরেও এই বোর্ডের অধীন কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাও জেলা লেখাপড়ার মান উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। এবার যে ১২টি কলেজের একজনও পাশ করে নাই তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কলেজের ফলাফল ভাল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কলেজগুলোতে পরিদর্শন বাড়ানো হবে এবং শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন