যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে উন্নয়নকাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য নিয়ে আসা মালামাল প্রবেশে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেছেন ছাত্ররা।
খবর পেয়ে উপাচার্যসহ শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন ছাত্ররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অভিযুক্ত চার ছাত্রকে বুধবার বিকেলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ইলিয়াস হোসেন, একই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র অন্তর দে শুভ, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র গোলাম রব্বানী এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইসমে আজম শুভ।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের (বিডিরেন) কিছু মালামাল আসে। চারজন ছাত্র মালামাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয় এবং ওদেরকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হবে না বলে সরবরাহকারীদেরকে জানায় এবং চাঁদা দাবি করে।
সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার ও আইপিই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক খবর পেয়ে সেখানে যান এবং মালামাল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবুও চার শিক্ষার্থী চাঁদার দাবিতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়। উপাচার্য ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালান। ছাত্রলীগের নেতারা বলার পরও চারজন ছাত্র মালামাল আটকে রাখে। পরে উপাচার্য প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মালামাল উদ্ধার করতে যান। তখন চার ছাত্র উপাচার্য ও উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
নোটিশে বলা হয়, প্রায় দুই মাস আগে ওই ছাত্ররাই ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য আনা ফাইবার অপটিক কেবল নিয়ে গিয়েছিল। তখন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জাফিরুল ইসলামের সহায়তায় বিষয়টির সুরাহা হয়। এরপর ১৭ জুলাই এমন ঘটনা ঘটে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই চারজন ছাত্র বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য, অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি এবং অছাত্রসুলভ আচরণ করেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও অসদাচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বদ্যিালয়ের গবেষণার কাজে যন্ত্রপাতি আনতে গেলেও বাধা সৃষ্টি করে ওই ছাত্ররা।
নোটিশে বলা হয়, সতর্কীকরণ নোটিশ পাওয়ার পরও যদি তাদের আচরণ সন্তোষজনক না হয়; তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এবং প্রক্টরিয়াল বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন