ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে শিশুরোগীর মাকে (২২) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোরটসাইকেল দুর্ঘনায় আহত শিশুপুত্রকে চিকিৎসা করাতে এসে এই ঘটনার শিকার হন ওই নারী।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাত পৌনে ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সোহাগ মৃধা (৩৮) উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবদুল বারেক মৃধার ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বাইরে দোকান থেকে ফেরার সময় নৈশপ্রহরী সোহাগ হাসপাতালের নিচতলার একটি কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখান থেকে যাওয়ার সময় হঠাৎ সোহাগ তাকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক ওই কক্ষের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে কক্ষের মধ্যে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সোহাগ। তিনি চিৎকার করলে সোহাগ তাকে ছেড়ে দেয়।
পরে শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে ওই নারী সবাইকে বিষয়টি জানায়। এছাড়াও তার এক আত্মীয়কেও মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে রাতেই ওই আত্মীয় থানা থেকে পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে যায়। কিন্তু ঘটনার পরপরই সোহাগ পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ওই নারী বলেন, এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল ছাড়তে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে নৈশপ্রহরী সোহাগের লোকজন। এছাড়া বিষয়টি কাউকে জানালে বা কোথাও অভিযোগ করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত সোহাগ রাজাপুরের শীর্ষসন্ত্রাসী র্যা বের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত আলম চেয়ারম্যান ও সবুজের একান্ত সহযোগী ছিল। এছাড়াও সোহাগের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমি জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার পথে রয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘ঘটনা শুনে রাতেই হাসপাতালে গিয়েছি। তবে অভিযুক্ত সোহাগকে পাইনি। অভিযোগকারী ওই নারীকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই নারী কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন