পঞ্চগড়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ের কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই কথিত প্রেমিক ও তার সহযোগী পলাতক রয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি উপজেলা সদরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর বড়ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের অমরখানা এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে আনারুল ইসলাম (২৮) এবং একই এলাকার মাজম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম (১৯)।
পুলিশ জানায়, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শালডাঙ্গা এলাকার আনারুল ইসলাম মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের কথা বলে সোমবার (১৮ জুন) রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় আনারুল। পরে তাকে আনারুল ও তার এক সহযোগী সফিকুল মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরির পর গভীর রাতে স্কুলছাত্রীকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিক আনারুল। পরে সে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে কাপড় ও টাকা নিয়ে আসার কথা বলে সহযোগীসহ পালিয়ে যায়। পরদিন ভোরে মেয়েটির কান্না শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরিবারে খবর দেয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বড় ভাই বুধবার বিকেলে আনারুল ও তার সহযোগী সফিকুলকে আসামি করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
সদর থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) রঞ্জু আহম্মেদ বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন