নীলফামারীর ডিমলায় ৪টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুই গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, টাকা ভাগাভাগি নিয়ে শ্রমিককে হত্যা ও এক বৃদ্ধার লাশ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে যৌতুকের কারণে লাইলি বেগমকে (২৭) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। লাইলি গয়াবাড়ী ইউনিয়নের আজিজুল ইসলামের মেয়ে। এ ব্যাপারে লাইলি বেগমের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের (চেয়ারম্যান পাড়া) মৃত আব্দুল গণির ছেলে জুল হোসেনের (৩৭) সঙ্গে বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের আহেদ আলীর মেয়ে রাশেদার (২৮) বিয়ে হয় ১২ বছর আগে। বিয়ের পর থেকে রাশেদার স্বামী জুল হোসেন তার পরিবারের লোকজন নিয়ে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতো।
গতকাল সোমবার দুপুরেও রাশেদার সঙ্গে তার স্বামী ও ভাসুরদের ঝগড়া বাঁধে। এরই জের ধরে রাশেদাকে স্বামী ও তার ভাসুর মিলে মারধর করে। এরপর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে রাশেদা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। এরপর রাশেদাকে ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় রাশেদার স্বামী জুল হোসেন হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অন্য দিকে, উপজেলার ছানতাই বালাপাড়া গ্রামে শ্রমিকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলামের (৩৫) সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রহিম গংয়ের গত ১৫ জুন বিকেলে সংঘর্ষ হলে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত কামরুলকে প্রথমে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ জুন রাতে কামরুলের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে কামরুলের স্ত্রী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপর দিকে, মঙ্গলবার সকালে গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী গ্রামের বিরেন চন্দ্র রায়ের পুকুর থেকে মজিবর রহমান (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্য মজিবর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বাবা দীর্ঘদিন থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
ডিমলা থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রহিম লাশ ৪টির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন