ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হতদরিদ্রদের মাঝে ঈদের জন্য বরাদ্দ ৬০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ চালগুলো কার্ডধারী দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে চালগুলো জব্দ করা হয়।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য তিন হাজার ৮০টি কার্ড বিলি করা হয়। ঈদের আগের দিন কার্ডধারী ব্যক্তিদের ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার সাতশ ব্যক্তিকে চাল বিতরণ করা হয়। বাকি তিনশ ব্যাক্তিকে চাল দেয়া হয়নি। তিনশ কার্ড বিলি না করে চেয়ারম্যান ও সচিব তাদের কাছে রেখে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈদের জন্য বরাদ্দ চাল বিলি না করে চেয়ারম্যান ও সচিব তাদের জিম্মায় রেখে দেয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ৬০ বস্তা চাল বিলি না করে রেখে দেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কর্মকর্তারা গিয়ে ৬০ বস্তা চাল জব্দ করেন এবং চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে সিলগালা করে রাখেন।
চাল আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, তিন হাজার ৮০টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছে প্রায় তিনশ কার্ড দেয়া হয়েছে। দুই হাজার সাতশ’র বেশি কার্ডধারীরা চাল নিয়ে গেছে। বাকি তিনশ কার্ডের লোকজন চাল নিতে আসেনি। ফলে চালগুলো পরিষদে রেখে দেয়া হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্যই হয়তো ক্ষমতাসীন দলের নেতারা কার্ডগুলো বিতরণ না করে নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন।
ফরিদপুর সদরের নির্বাহী কর্মর্তা প্রভাংশু শোম মহান এ বিষয়ে বলেন, যেহেতু চাল ঈদের আগেই বিতরণ করার কথা ছিলো,তা হয়নি। এই জন্য আমার প্রতিনিধি পাঠিয়ে ওই চাল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন