সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল পেনকা নামের বুলগেরিয়ার গাভিটির। সে খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ। জানাতে থাকেন নানা প্রতিবাদ। অবশেষে মানুষের প্রতিবাদে রক্ষা পেল গরুটি। পেনকার বেঁচে যাওয়ার খবর জানিয়েছে রয়টার্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
বুলগেরিয়ার ছোট্ট গ্রাম কোপিলোভৎসির। গত মাসে ঘাস খেতে খেতে পেনকা নামের গর্ভবতী গরুটি কখন যে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পাশ্ববর্তী দেশ সার্বিয়ায় ঢুকে পড়েছিল, টেরই পায়নি। টেরই পাবে কি করে, এই সীমানা তো মানুষের তৈরি, পশুদের আবার সীমান্ত কিসের।
গর্ভবতী গরুটির সন্ধান পেয়ে বুলগেরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে সার্বিয়ার প্রশাসন। গরুটির মালিক রাইনা জর্জিভা জানতে পারেন পেনকা সার্বিয়ায়। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে গরুপি ফেরত আসে নিজের দেশে।
ফেরত এলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতায় গরুটিকে দাঁড় হতে হয় কাঠগড়ায়। বিচার করে বুলগেরিয়া সরকার। আন্তর্জাতিক আইন ভাঙার জন্য পেনকার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো। আইন মেনে গরুটিকে শুলে চড়ানোর তোড়জোড় শুরু হল।
আর এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রতিবাদে সরব হয় ইউরোপীয় পশু অধিকারকর্মীরা। পেনকার প্রাণরক্ষায় অনলাইনে একের পর এক আবেদন আসতে থাকে। দেশ-বিদেশের পশুপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে মাঠে নামেন বিটলস তারকা পল ম্যাকার্টনিও।
মানুষের প্রতিবাদের মুখে পড়ে পেনকার মামলাটি পুনর্বিবেচনায় রাজি হয়েছে বুলগেরিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা। অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে গরুটি।
ইউরোপের পশুপ্রেমী সংগঠন ‘ফোর পজ’ ইউরোপীয় আইনে যে ফাঁক রয়েছে, এ বার তা দূর করতে সচেষ্ট হওয়ার দাবি জানিয়েছে ইইউ দেশগুলির প্রতি।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন