কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ভেজালের দায়ে মসলা কারখানার মালিক দুই ভাইকে এক মাস করে এবং এক কর্মচারীকে ১০ দিনের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বুধবার বিকেলে ভৈরব রানীর বাজার এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন। আদালতের নির্দেশে দুটি কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্ভেজাল, স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য উৎপাদন, বিক্রি এবং বাজার তদারকির আওতায় বুধবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এ সময় রানীর বাজার এলাকায় পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা গ্রামের সোনা মিয়ার দুই ছেলে লিয়াকত আলী (৪৫) ও আলামিনের (৪২) মসলা কারখানায় ভেজাল মসলা তৈরির দায়ে দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে এক মাস করে এবং লিয়াকতের কারখানার ম্যানেজার মোস্তফাকে (২৫) ১০ দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ সময় কারখানায় উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলা ও মসলা তৈরির উপকরণ ধ্বংস করাসহ কারখানা দুটি সিলগালা করার নির্দেশও দেন আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন জানান, কারখানা দুটিতে হলুদের সঙ্গে আটা ও রং, মরিচের সঙ্গে রং এবং ধনিয়ার সঙ্গে ধানের কুঁড়া ও রং মিশিয়ে মসলা তৈরি করা হচ্ছিল। যা শুধু ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণাই নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাদের ওই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভৈরব সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, ভৈরব পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাছিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন