প্রেমে বাধা দেওয়ায় অপহরণ ও খুনের ৭৯ দিন পর ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় মেহেদী হাসেন নামে এক স্কুলছাত্রের মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার পলাশীহাটা বাজারে উজ্জলের পরিত্যাক্ত গুদাম ঘরের মেঝে খুড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মেহেদী উপজেলার পলাশীহাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র ছিল। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করেছে।
এঘটনায় মেহেদী দুই বন্ধু- আল আমীন (২২) ও তুষারকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা দুইজনই একই কলেজের ছাত্র।
ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, গতকাল বিকালে ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাজার থেকে মেহেদী হাসান হত্যার আসামি আল আমীন, তুষার এবং তুষারের বড়ভাই উজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় মেহেদীকে হত্যার পর লাশ গুম করতে মাটিচাপা দেওয়ার হয়েছে বলে শিকার করে আল আমিন ও তুষার।
‘পরে রাত বারটায় গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে নিয়ে পলাশীহাটা বাজারে তুষারের বড়ভাই উজ্জলের পরিত্যক্ত গুদাম ঘরের মেঝে খুড়ে পুলিশ মেহেদীর লাশ উদ্ধার করা হয়।’
মেহেদীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মেহেদীর বাবা শাহজাহান।
পুলিশ জানায়, গত ৬ মার্চ এসএসসি পরীক্ষা শেষে উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলে মেহেদী আর বাড়িতে ফেরেনি। পরে মেহেদীর মোবাইল থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে মা মিনারার মোবাইলে এসএমএস দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয় অপহরনকারীরা।
১২ মার্চ মেহেদীর মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মেহেদী অপহরনের জট খুলতে মামলা তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। গোয়েন্দা পুলিশ সন্দেহভাজন প্বার্শবর্তী গ্রামের গফুরের ছেলে তুষারকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাজতে পাঠায়।
এর আগে মেহেদী হাসানের সন্ধান দাবিতে স্কুল পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক, সহপাঠি, ও স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন