আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আন্দোলনরত ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন ন্যাম ভবনে নানকের বাসায় ঢুকেন তারা। এখনও বৈঠক চলছে।
কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান জানান, প্রজ্ঞাপন জারি, মামলা প্রত্যাহার ও আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কথা বলব। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য আজ রাত ৯টায় সময় দিয়ে গতকাল আমাদের ডেকেছিলেন নানক।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই কেন্দ্রীয় কমিটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা চলতি মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আগামী মাস থেকে ফের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জানা গেছে, মূলত এই হুঁশিয়ারি দেয়ার পরই তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ডেকেছেন নানক।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৮ এপ্রিল থেকে বড় আকারে আন্দোলন শুরু হয়। ১১ এপ্রিল শাহবাগ এবং ঢাকার সব রাস্তায় নেমে আসেন সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এরপর দেশের নানা জায়গায় সড়ক অবরোধ শুরু হয়। কোটা সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ১১ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের কোটা বাতিলের কথা বলেছেন। এদিন বিকেলে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার ইস্যুতে প্রথমবারের মতো সরাসরি কথা বলেন। সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘কোটা পদ্ধতিই বাতিল।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনও কোটারই দরকার নেই।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন