নোয়াখালী থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন ইলিয়াছ হোসেন ইমন (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী। পথে ভুল করে সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তিনি। ওখান থেকে লোকাল ৪নং রোডের একটি বাসে করে তিনি আবার চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। চলতি পথে বাসের চালক ও হেলপার মিলে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে ভাটিয়ারীর বানুর বাজার এলাকায় চলতি গাড়ি থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে গাড়িসহ চালককে আটক করে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাটি বুধবার রাত সাড়ে ১০টার।
ঘটনার পর পুলিশ একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের আট সদস্যকে আটক করেছে। তারা হলো নোয়াখালী থানার ধর্মপুর গ্রামের ইব্রাহিম (১৮), কুমিল্লা নাঙ্গলকোর্ট এলাকার আরিফুর ইসলাম (২০) ও কুমিল্লা নাঙ্গলকোর্টের মো. মহিম (২১), ভোলার মনপুরা থানার মো. আল আমিন (১৬), মীরসরাই ঠাকুরদিঘী এলাকার সামসুল হক আরমান (১৭), নোয়াখালী সেনবাগের রাকিব (১৮), কুমিল্লার দেবিদ্ধারের মাসুম (১৪) ও চট্টগ্রাম আকবর শাহ থানা এলাকার রবিউল হোসেন (১৪)। তারা সবাই চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ড চালাচলকারী ৪, ৭ ও ১১ নম্বর লাইনের গণপরিবহনের চালক ও হেলপার।
বানুর বাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুল করিম বলেন, বুধবার রাতে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বাসটি দ্রুতগতিতে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকেরা সেটিকে আটক করে। বাসে ওই যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে চালকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে ওই সময় হেলপার পালিয়ে গেছে।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট রফিক আহমেদ মজুমদার বলেন, বাসযাত্রী ইলিয়াছ হোসেন ইমন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মধুপুর গ্রামের গোপালপুর আলী হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে নোয়াখালী থেকে একটি বাসে চট্টগ্রাম আসার পথে ভুলক্রমে কুমিরা এলাকায় নেমে পড়ে। ওখান থেকে লোকাল একটি বাসে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে চালক ও হেলপার তার মোবাইল, টাকাসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে বাসের চালক ইব্রাহিমকে আটক করেন স্থানীয়রা।
সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, বাসচালক ইব্রাহিমের তথ্যে এই চক্রের ৮ সদস্যকে সীতাকুণ্ডর বিভিন্নস্থান থেকে আটক করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন