ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণার ঘটনায় চিকিৎসকদের আরও সচেতন থাকা উচিত ছিল বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। জানিয়েছেন তিনি এই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছেন।
শিশুটিকে মৃত ঘোষণা ‘দুর্ঘটনা’ ছিল বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিকেলে তোলপাড় করা এই ঘটনার দুই দিন পর বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন নাসিম।
গত সোমবার দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিতে জন্ম হয় শিশু মীমের। পেটে থাকা অবস্থাতেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলেছিলেন। গত সোমবার সকালে জন্মের পর মৃত্যুর সনদও দেয়া হয়।
এরপর আজিমপুর করবস্থানে সমাহিত করার সময় নড়ে উঠে মীম। পরে তাকে আজিমপুর মেটার্নিটিতে নিয়ে যান মামা শরিফুল ইসলাম। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, বেঁচে আছেন মীম। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় শিশু হাসপাতালে। যদিও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। গভীর রাতে মারা যায় সে।
এই ঘটনাটি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে সোমবারই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক বিদ্যুৎকান্তি পালকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানান হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম নাসিরউদ্দিন।
ওই কমিটির প্রতিবেদনে কী এসেছে, সেটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়নি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এটি ছিল একটি ‘দুর্ঘটনা’।
নাসিম বলেন, ‘আমি তদন্ত করে দেখেছি এটা দুর্ঘটনা, সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এটা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।’
মীমকে জীবিত অবস্থায় শিশু হাসপাতালে নেয়ার পর হাসপাতাল পরিচালক আবদুল আজিজ এ নিয়ে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘তবে ঢাকা মেডিকেল থেকে আজিমপুর করবস্থানে আবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে আনতে যে সময় নষ্ট হয়েছে তাতে তার শরীরের অবস্থা আসলেই বেশি খারাপ হয়ে গেছে। আমরা সকলকে সাথে নিয়ে বাচ্চাকে দ্রুত সুস্থ করতে চাই।’
তবে শিশু হাসপাতালের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে রাত দেড়টার দিকে মারা যায় মীম।
শিশু হাসপাতালের পরিচালকের মতোই বেদনায় আর্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। বলেন, ‘কষ্ট পাই যখন দেখি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন জীবিত শিশুকে মৃত্যু ঘোষণা করা হলো। তাকে দাফন করতে গিয়ে সে নড়েচড়ে উঠল।’
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন