সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এয়ারপোর্ট এলাকায় চলন্ত সিএনজি থেকে অচেতন অবস্থায় পড়ে যাওয়া তরুণীকে নিয়ে কৌতুহল জমেছিল সবার মধ্যে। কে বা কারা ফেলে গেল, মেয়েটি অচেতন হলো কীভাবে, তার পরিচয় কি- এসব নিয়ে জল্পনা ছিল সবার মধ্যেই।
আহত অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। জ্ঞান ফেরার পর মঙ্গলবার পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা করেছেন তানিয়া (২০) নামের এই তরুণী।
তানিয়া জানান, তার বাবা সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা-মা আলাদা থাকেন। তিনি বাবার সঙ্গে থাকেন। গতকাল (সোমবার) বাবার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়, এতে তিনি মর্মাহত হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ধানমন্ডিতে যান। সেখানে মাদক গ্রহণ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফলে সজ্ঞানে ছিলেন না। তাই কীভাবে তিনি সিএনজি থেকে পড়েছেন তা জানেন না।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তাই মেয়েটিকে তার বাবার হেফাজতে হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় চলন্ত সিএনজি থেকে তানিয়া রাস্তায় পড়ে যান। সেসময় তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। তার পরনে ছিল কালো ফতুয়া, জিন্স ও কেডস।
পরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যের তথ্যের ভিত্তিতে সড়কটি থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করা করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন