পাবনার ঈশ্বরদীর পশ্চিমটেংরী কাচারীপাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর (১০) শ্লীলতাহানির অভিযোগে ঈশ্বরদী উপজেলা রিকশা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও রিকশাচালক সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি বাদশা মন্ডলকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা।
সোমবার রাতের এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। বাদশা মন্ডল ছলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের মৃত গনি মন্ডলের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে।
ওই ছাত্রী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল স্কুলছাত্রী। পড়া শেষে বাড়িতে যাওয়ার পথে বাদশা মন্ডল তাকে মুখ চেপে ধরে জামা টেনে ছিঁড়ে ফেলে।
এ সময় স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসে। তখন বাদশা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে দৌড়ে ধরে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। বাদশার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক দেবব্রত পাল জানান, বাদশার ডান হাতের আঙুল থেঁতলে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, তিনি একজন নৈশপ্রহরী। তার ইচ্ছা ছিল মেয়েকে লেখাপড়া শেখাবেন। কিন্তু এ ঘটনার পর তার মেয়ের হয়তো লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ওসি আজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাদশা মন্ডলকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় মামলা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন