যশোরে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।তবে পুলিশের দাবি, মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু, ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে পুলিশ ভাংচুর করেনি।
বুধবার যশোর সিটি কলেজে পাড়ার ব্যাটারিপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার শিকার সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন ভাইয়ের সঙ্গে ভারত থেকে মোটরপার্টস আমদানি করে ব্যবসা করেন। তারা শহরের সিটি কলেজপাড়ার ইকবাল মিয়ার ছেলে।
সাব্বির হোসেন জানান, বুধবার বিকেল চারটার দিকে তিনি বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ব্যাটারিপট্টি এলাকায় আসেন। এরপর তিনি মোবাইল ফোন সেট বের করে তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলেন। তখন সাদা পোশাকের দুই ব্যক্তি তার কাছে এসে পায়ের কাছে একটি সাদা কাগজে মোড়া কিছু ফেলে বলেন- ‘তোর কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। থানায় চল। ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন দেখে এগিয়ে আসে। তারা সাদা পোশাকধারীদের বলেন- আপনিই তো ওই কাগজে মোড়ানো জিনিস ফেললেন’।
তিনি জানান, এই নিয়ে তাদের সঙ্গে সাদা পোশাকধারীদের কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এই ফাঁকে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন সাব্বির।
সাব্বির হোসেনের মা জোসনা বেগম জানান, বুধবার গভীর রাতে একদল সাদা পোশাকের পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলেন। আমি দরজা খুললে তারা আমার পরিবারের সব সদস্যকে একটি ঘরে আটকে রাখে। এরপর তারা তাণ্ডব চালায়। ঘরে থাকা, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, আলমারিসহ সব আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার করে দেয়।
পরিবার নিয়ে তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর কোতোয়ালি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শফিকুজ্জামান জানান, সাব্বির হোসেন ছক্কু একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা।
কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, সাব্বির হোসেন ছক্কু একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ৫/৭টি নাশকতার মামলা রয়েছে।
তবে কতটি মাদক মামলা আছে, সে বিষয়ে সঠিক পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে তিনি দিতে পারেননি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন