সাভারের ছায়াবিথী এলাকা থেকে সোহাগ নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। শিশুটির বাবার বাড়ির স্বজনদের অভিযোগ, মাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সুবিধা করতেই নানার বাড়িরা লোকেরা শিশুটিকে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ছায়াবিথী মহল্লার শিশুটির নানা বাবুল মাইজ ভাণ্ডারীর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশুটির চাচা আব্দুল বাতেন অভিযোগ করেন, প্রায় দুই মাস পূর্বে তার ছোট ভাই আব্দুল মমিন ও তার স্ত্রী বাবলী বেগমের সাংসারিক কলহ হয়। এক পর্যায়ে বাবলী তার শিশু ছেলে সোহাগকে নিয়ে অভিমান করে বাবা বাবুল মাইজ ভাণ্ডারীর ছায়াবিথী এলাকার বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকেই তার ছোট ভাই মমিন ও বাবলী দম্পতি আলাদা বসবাস করে আসছিলেন। এর মধ্যে অনেকবার তারা পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও বাবলীর বাবা বাবুল মাইজ ভাণ্ডারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি। উল্টো তিনি তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ ঘটনার পর হঠাৎ আজ দুপুরে মমিনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে সোহাগের মৃত্যুর খবর তাদের জানায়।
তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন আগেও তারা মমিনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সোহাগকে সুস্থ অবস্থায় খেলতে দেখেছেন। আর আজ বলছে যে অসুস্থ হয়েই সোহাগের মৃত্যু হয়েছে। মূলত মেয়ে বাবলীকে অন্যত্র বিয়ে দিতেই পথের কাঁটা হিসেবে শিশু সোহাগকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তারা নানা বাবুল মাইজ ভাণ্ডারী।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পণা কর্মকর্তা আমজাদুল হক জানান, দুপুরে সোহাগ নামের ঐ শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক এনামুল হক বলেন, নিহত শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা আব্দুল মমিন ও নানা বাবুল মাইজ ভাণ্ডারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন