রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন রাজধানীর মিরপুরের মধ্যে পীরেরবাগে অস্ত্র অভিযানে গিয়ে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ( ডিবি) পরিদর্শক জালাল উদ্দিন। জালাল ফোনে স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘আমার আসতে দেরি হবে, তুমি চাবিটা নিয়ে রেখো।’
পরিদর্শক জালাল উদ্দিন যে বাসায় ভাড়া থাকেন সেই বাসার মূল গেট রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য স্ত্রীকে বলেছিলেন দারোয়ানের কাছ থেকে চাবিটা নিয়ে রেখে দিতে।
২০ মার্চ, মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে জালালের জানাজা শেষে এসব কথা জানান জালালের শ্যালিকা রিম্পা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জালালের স্ত্রী বীণা পারভিন এবং তার দুই মেয়ে। স্বামীর শোকে কাতর বীণা খাতুন বারবার কন্নায় ভেঙে পড়ছিলেন।
জালালের শ্যালিকা রিম্পা খাতুন বলেন, ‘জালাল ভাই বাসাবো এলাকায় তার পরিবার নিয়ে থাকতেন। প্রায় প্রতিদিনই সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে চলে যান। আর রাতে ১২টার মধ্যে ফিরে আসেন। তার দুই মেয়ে তূর্য ও ত্রপি ভিকারুননেসা নূন স্কুলে পড়াশোনা করে।’
গত রাতের বর্ণনা দিয়ে রিম্পা খাতুন বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে জালাল ভাই তার স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। বাসায় সবাই কে কী করছে, এসব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। কথা শেষে তার স্ত্রী জিজ্ঞাসা করে তুমি কয়টায় ফিরবে। তখন তিনি বলেছিলেন, “আমার আসতে দেরি হবে, তুমি চাবিটা নিয়ে রেখো। আমার আসতে ভোরও হতে পারে”।’
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে তার জানাজা শেষে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে দাফনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা।
জালালের জানাজা শেষে বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘পুলিশ পরিদর্শক জালাল উদ্দিনের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে। জালাল উদ্দিনের দুই মেয়ে, স্ত্রী ও মা রয়েছেন। তার এই পরিবারের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে পুলিশ বহন করবে। মেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সবকিছুর দায়-দায়িত্ব পুলিশ পরিবার গ্রহণ করবে।’
প্রিয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন