অন্তত শ্রীলঙ্কার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র 'দ্য আইল্যান্ড' এর দাবি তাই। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই নাকি এই কাণ্ড করেছেন। এই সংবাদ তারা করেছে সাকিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ধুয়ে দিয়ে। কিন্তু প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। যেমন প্রমাণের অভাবে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডও বিষয়টি উপেক্ষা করেছেন। তার ওপরও ক্ষেপেছে আইল্যান্ড সাকিবকে এজন্য শাস্তি না দেওয়ায়! লঙ্কান সংবাদপত্রের দাবি, ওই দরজা ঠিক করতে শ্রীলঙ্কা বোর্ডের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার রুপি।
ঘটনাটা গত শুক্রবারের। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ শেষটায় চরম উত্তেজনায় গিয়ে দাঁড়ায়। শেষ ওভারের শুরুতে পরপর দুই বাউন্সার দেন পেসার ইসুরু উদানা। আম্পায়ার 'নো' না ডাকলে বাংলাদেশে খেলোয়াড়রা মাঠ ও মাঠের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সাকিব মাঠের দুই ব্যাটসম্যানকে খেলা ছেড়ে চলে আসতে বলেন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে বাংলাদেশ জিতে নেয় রোমাঞ্চকর ম্যাচটি। সাকিব দলকে উঠে আসতে বলে রাগে উপরের ড্রেসিং রুমে চলে যান। পরের দিন খবর, ড্রেসিং রুমের দরজা ভাঙা পাওয়া গেছে। ম্যাচ রেফারি তদন্ত করছেন।
তো সাকিবকে কাঁচের দরজা ভাঙার দোষ দিয়ে 'দ্য আইল্যান্ড লিখেছে, 'টেলিভিশন ক্যামেরা বাংলাদেশ খেলোয়াড়ের অসৌজন্যমূলক আচরণ ধরেছে। এক পর্যায়ে তিনি তার খেলোয়াড়দের মাঠ ছাড়তে বলেন। আর তা আম্পায়ার ইসুরু উদানার দ্বিতীয় বাউন্সারকে নো না দিলে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শ্রীলঙ্কার ভাগ্য ঠিক করে দেন ম্যাচ জেতানো এক ছক্কায়, খেলা শেষের আগের বলে। এরপর ড্রেসিং রুমের কাঁচের দরজা ভাঙা পাওয়া যায়।'
সংবাদপত্রটি আরো লিখেছে, 'সিসিটিভি ক্যামেরা যদিও সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি যে কে আসলে ক্ষতিটা করেছে তবে দ্য আইল্যান্ড জানতে পেরেছে, ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড খাবার সরবরাহকারীদের সাথে কথা বলেছিলেন। তা করেছিলেন ড্রেসিং রুমে এই কাণ্ডটা কোন কালপ্রিট করলো তা বের করতে। কলম্বোর মুভেনপিক হোটেল, যেটাতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দল ছিল সেটি খেলার সময় খাবার যোগান দিত। তদন্তে জানা গেছে, একজন খাবার সরবরাহকারী ব্রডকে বলেছিলেন, সাকিবই এই ক্ষতি করেছেন। চাক্ষুষ এই সাক্ষী ব্রডকে বলেন, বাংলাদেশ অধিনায়ক জোর করেই দরজার এই হাল করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করে আসা ব্রড ধারাবাহিকতার অভাবের দোষে দুষ্ট। যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরও তার অন্ধ চোখ সরিয়ে নেন এবং সাকিবকে কবজির জোরে হালকা চাটি মেরে ছেড়ে দেন। সেটা ২৫ শতাংশ জরিমানা এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।'
সূত্র : দ্য আইল্যান্ড।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন