প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা পাত্তাই দেননি।
রবং সমালোচনাকারীদের উলটো তুলোধুনো করেছেন। এনিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে বিশিষ্ট টকশো ব্যক্তিত্ব ড তুহিন মালিক ।
তিনি লিখেছেন,
প্রধানমন্ত্রী আজকে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, “প্রশ্নপত্র ফাঁস নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে এটা চলে আসছে।”
তার মানে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র ফাঁস অবৈধ নয়; ‘ঐতিহ্যগত স্বাভাবিক’ ব্যাপার!
আশ্চর্য! রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসকে বৈধতা দিয়ে দেয়া হলো!
“প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রশ্নপত্র ফাঁস বলে একটি সুর তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই বলে মন্ত্রী, সচিবকে চলে যেতে হবে?”
জনগণের অর্থে বেতনভোগী দায়িত্বপ্রাপ্তদের যদি কোন দায়-দায়িত্ব না থাকে, তাহলে দায়টা কার? তবে কি দায়টা শুধুই দূর্ভাগা জাতির!
“প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, প্রশ্নফাঁকারীদের ধরিয়ে দেন, তাদের শাস্তি দেব।”
গণমাধ্যমকর্মীরা সরকার, প্রশাসন, মন্ত্রনালয় কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়।চোর ধরার সব দায় কি তাদের? ৩২ ধারার খড়গ মাথায় নিয়ে কি গণমাধ্যমকর্মীরা চোরের সন্ধান দিয়ে আজীবন জেল খাটবে?
দায়িত্বপ্রাপ্তরাই দায়িত্বশীল হবেন। দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। এটাই রাষ্ট্র ও সরকার ব্যাবস্থার অমোঘ নিয়ম। দুঃখজনকভাবে সত্য যে, প্রধানমন্ত্রী আজকেও যে সংবিধানের দোহাই দিলেন, তিনি সেই সংবিধানটাই বুঝতে পারলেন না!!!
প্রশ্নফাঁস নতুন কিছু নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রশ্নফাঁস নতুন কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণভবনে পূর্ব নির্ধারিত প্রেসব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটি সফর নিয়ে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘প্রশ্ন কত সময় আগে ফাঁস হয়। ২০ মিনিট আগে। আর এতো ট্যালেন্ট কে আছে, যে ২০ মিনিট আগে প্রশ্ন পেয়ে সব কিছু মুখস্ত করে লিখে ফেলবে?’
প্রশ্নফাঁস রোধে ব্যর্থতার দায়ে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ করা উচিত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মন্ত্রী-সচিবরা গিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করে আসেন না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন