বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনে আটকে পড়া ছয় হাজার ৫০০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে আগামীকাল মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হবে। বাংলাদেশ সীমান্তের গুনদুম সংলগ্ন এলাকায় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের সভায় সীমান্তের জিরো লাইনে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
এ ব্যাপারে উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেছেন, সীমান্তের জিরো লাইনের মিয়ানমার অংশে এসব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারেই আলোচনা হবে।
তবে জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনার ইউএনএইচসিআরের ঊর্ধ্বতন তথ্য কর্মকর্তা ক্যারোলিন গ্লুক বলেছেন, সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ওপর চাপ প্রয়োগের সংবাদে আমরা উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারে সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে পালিয়ে আসা মানুষগুলোকে জোর করে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না।
উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর নির্ধারিত কোনো সময়সীমা নেই। তাদেরকে স্বেচ্ছায় ফেরত পাঠানো হবে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি উল্লেখ করে ক্যারোলিন গ্লুক বলেন, আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুদের সম্মতির ভিত্তিতে নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার - দুই দেশের প্রতিই আহ্বান জানাচ্ছে ইউএনএইচসিআর।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ইউএনএইচসিআরকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেও জাতিসঙ্ঘের সংস্থাটির ব্যাপারে মিয়ানমারের আপত্তি রয়েছে। বিকল্প হিসাবে তারা আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে (আইসিআরসি) এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভূক্ত করতে চায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন