ফোরজির লাইসেন্স পেল দেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি।এ উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটকের কাছে ফোরজির লাইসেন্স হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
লাইসেন্স হস্তান্তরের দিনটি ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেলিকম অপারেটরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘টেলিকম অপারেটরদের আরো সেবার মান বাড়াতে হবে। কারণ জনগণ আপনাদের সেবার জন্য পয়সা খরচ করে।’
বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় নিলামের মাধ্যমে ফোরজি তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়।
নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। গ্রামীণফোন নিলামে ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। গ্রামীণফোনের এখন তরঙ্গের পরিমাণ ৩৭ মেগাহার্জ।
নিলামে বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ এবং ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫.৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। অপারেটরটির মোট তরঙ্গের
পরিমাণ ৩০.৬।
নিলামে রবি ও টেলিটক অংশ না নিলে তাদের যে টুজি ও থ্রিজি ব্যান্ডে যে তরঙ্গ রয়েছে তা ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে ব্যয় করতে পারবে। কেননা, বিটিআরসি নতুন এক নির্দেশনায় অপারেটরগুলোকে টেক নিউট্রালিটি দিয়েছে।
ফলে অপারটরগুলোর অব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যান্ডের তরঙ্গ ফোরজিতে ব্যবহারে বাধা নেই।
রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার ফলে তাদের তরঙ্গও একীভূত হয়েছে।
রবির এখন মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩৬.৪। টেলিটকের তরঙ্গ আছে ২৫.২ মেগাহার্জ।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক ছিল ১৪ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন