কক্সবাজারের বালুখালি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সোমবার সম্প্রদায়টির আরেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, ইউসুফ আলি (৬০) নামের ওই রোহিঙ্গা নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন বলে অপর এক সূত্র জানিয়েছে।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশে ফিরে যাওয়া নিয়ে যখন উত্তেজনা চলছে, তারই মধ্যে এই ঘটনা ঘটলো।
এর আগে শুক্রবার বালুখালি শিবিরেই মোহাম্মদ ইউসুফ নামের এক রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী জামিলা খাতুন জানান, প্রায় ২০ জনের মতো মুখোশধারী লোক তাদের ঘরে হামলা করে ও তার স্বামীর মাথায় গুলি করে হত্যা করে।
তিনি বলেন, “গুলি করার পর তার স্বামী ‘ও আল্লাহ’ বলে শব্দ করে ওঠে। এরপর তাকে দ্বিতীয় গুলি করা হয়। পরে তিনি পড়ে যান।”
জামিলা আরো বলেন, ‘তারা রোহিঙ্গা ভাষায় কথা বলে। তারা আমার স্বামীকে বলছিল, তুমি কেন তালিকায় নাম লেখালে? ওরা ছিল ক্ষুব্ধ।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে তাদের ফেরত পাঠানোর তালিকা তৈরি ও শনাক্তের কাজ শেষ না হওয়ায় আপাতত প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে গত মাসে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমার। তবে নিজেদের বাড়ির পরিবর্তে তাদের সেখানেও শরণার্থী শিবিরে থাকার কথা বলা হয়। দুই বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও জানায় মিয়ানমার সরকার।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন