নগরীর বয়রাস্থ খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফাহমিদ তানভির রাজিন (১৩) হত্যার মূল ঘাতক সাব্বিরকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে জেলার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামে সাব্বিরের নানাবাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
সাব্বির নগরীর বয়রার ইসলামীয় কলেজ রোড শ্মশানঘাট এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে।
সোমবার বিকালে খালিশপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম বলেন, রাজিনের সঙ্গে সাব্বিরের পূর্বশত্রুতা ছিল। পরিকল্পিতভাবেই রাজিনকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চার বছর আগে সাব্বির অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর আর স্কুলমুখো হয়নি। সাব্বির ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফাহিমসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সাব্বিরকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বয়রা এলাকায় তাদের বাসা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তাক্ত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টায় খুলনা পাবলিক কলেজের রি-ইউনিয়নের অনুষ্ঠানে রাজিনকে হত্যা করা হয়। রোববার বিকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সহপাঠী (বান্ধবী) সঙ্গ না ছাড়ায় কলেজের রি-ইউনিয়নের অনুষ্ঠানে শনিবার রাতে বহিরাগতরা পরিকল্পিতভাবে রাজিনকে হত্যা করে। ওই বান্ধবীকে ফাহিম উত্তক্ত করত। রাজিন তার প্রতিবাদ করায় ফাহিমের ক্ষোভ ছিল।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো- টাঙ্গাইলের শাহীন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র নগরীর মুজগুন্নি আবাসিকের ফারুক হোসেনের ছেলে মো. ফাহিম ইসলাম মনি, বয়রা সাউথ সেন্ট্রাল রোডের লিয়াকত হোসেনের ছেলে মো. রয়েল, আড়ংঘাটা থানার সাঈদ ইসলামের ছেলে মো. সানি ইসলাম, মুজগুন্নি আবাসিকের আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. আসিফ প্রান্ত আলিফ, খালিশপুরের জাকির হোসেন খানের ছেলে মো. জিসান খান, বড় বয়রার মেইন রোডের আহাদ হোসেনের ছেলে তারিন হাসান ওরফে রিজভীসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ ফাহিম ছাড়া সবাইকে আটক করেছে। আটককৃতদের জবানবন্দিতে রাজিনের মূল ঘাতক হিসেবে সাব্বিরের নাম বেরিয়ে আসে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন