এখনও আলোচনা থামেনি শিশু আতিকা হত্যার ঘটনা নিয়ে। উপজেলাজুড়ে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। দ্বিতীয় সন্তানও কন্যা হওয়ায় মাত্র দেড় মাস বয়সী আতিকাকে গলাটিপে হত্যা করে ঘরের আলমিরাতে কাপড়ের সঙ্গে জড়িয়ে আতিকার লাশ গুম করে রাখা হয়। এ এক অন্য রকম নির্মমতা! শিশুকে পৃথিবীতে থাকতে দিল না তারই আপনজনেরা।
প্রাথমিক তদন্তে এ ধারণা পোষণ করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) জহুরুল হক। তিনি বলেন, দেড় মাসের আতিকার মৃত্যু আমাদের অপরাধী করে দেয়। অপরাধী করে দেয় পুরো মানব জাতিকে। কন্যা শিশু হত্যা যেন প্রাগোতিহাসিক বর্বর সংস্কৃতির নগ্ন ছবি।
গত শনিবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অরণকোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন শিশুটি দুপুর ১২টা থেকে নিখোঁজ ছিল। দেড় মাস বয়সি শিশু আতিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির আলমিরায় লুকিয়ে রাখে তার স্বজনরা। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আতিকা ওই এলাকার ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশুটির পরিবারের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
নির্মম এ হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শিশুটির বাবা, দাদা-দাদির প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করেছে তারা।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন