দুপুর ১২টা। রীমা কমিউনিটি সেন্টারের গেইট। লোকে লোকারণ্য। সবাই এসেছেন প্রিয় নেতা মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেজবানে অংশ নিতে। একটু পরেই খুলে দেয়া হবে প্রবেশদ্বার। কিন্তু কে জানতো এই প্রবেশদ্বারই হবে মৃত্যুদ্বার? নগরীর ১১টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করা হলেও ব্যতিক্রম ছিলো রীমা কমিউনিটি সেন্টার। এখানের আয়োজন শুধু মুসলিম ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য। তবে এই নিয়ম মানেনি কেউ।
নিয়মের সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে ধারণ ক্ষমতারও বেশি মানুষ ভিড় জমান রীমা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে। মেজবান সেন্টারে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের লোক থাকলেও কল্পনাতীত মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খান তারা। গেট খুলে দেয়ার সাথে সাথে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন মানুষ। কিন্তু পেছনের মানুষের ধাক্কায় গেটের সামনে থাকা মানুষ নিচে পড়ে যান। তার উপর রাস্তা থেকে ১০ ফুট ঢালুতে থাকায় অনেকেই মানুষের ধাক্কা সামলাতে না পেরে পড়ে যান মাটিতে। একে একে পদদলিত হতে থাকেন তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লাঠিচার্জ করলে অবস্থা আরো বেগতিক রূপ নেয়। মানুষ দিগ্বিদিক ছুটতে থাকায় পদদলিতরা আর উঠতে পারেননি। ঘটনাস্থলেই মারা যান নয়জন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আরো একজন। আহত হন অর্ধশত।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘটনাগুলো বলছিলেন গেটের কাছাকাছি থাকা প্রত্যক্ষদর্শী দীপু। তিনি আরো বলেন, মূলত অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খল অবস্থার কারণেই এই অবস্থা। এছাড়া ভিড় সামলাতে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, এটি আসলে একটি দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার উপর কারো হাত নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আমাদের ছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন