চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে মেজবান খেতে গিয়ে কমিউনিটি সেন্টারের ঢালু স্থানে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহত ও প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ জন। চমেক হাসপাতালের ডা. ফয়সল ইকবাল ও ডিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে নিহতদের সহপাঠীরা।
চমেক হাসপাতালে গিয়ে নিহতদের চিহ্নিত করেছেন স্বজনরা। স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, নিহতরা হলেন: সুবীর দাশ, কৃষ্ণ প্রসাদ দাশ, প্রদীপ তালুকদার, ঝন্টু দাশ, ধনা শীল, টিটু, লিটন দেব ও রাহুল দাশ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, নিহতের নাম রাহুল দাশ। তিনি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী। এদিকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অর্পণ নামের আরেকজন শিক্ষার্থীও গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউ’তে রয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ট্রেনের বগিভিত্তিক সমমনা সংগঠন সিক্সটি নাইনের সক্রিয় কর্মী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সায়দুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করতাম। বন্ধুমহলে এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
চমেক হাসপাতালে অবস্থানরত নিহত ঝন্টু দাসের ছোট ভাই টিংকু দাস বলেন, ‘বড় ভাই গার্মেন্টসে কাজ করতেন। শরীফ কলোনিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। আজ রীমা কমিউনিটি সেন্টারে খেতে গিয়ে মারা যান তিনি। তার সাত বছর বয়সের একটি মেয়ে আছে।’
নিহত প্রদীপ তালুকদারের শ্যালক লিংকন মহাজন বলেন, ‘দুলাভাই আগ্রাবাদ এলাকায় থাকতেন। তিনি কন্সট্রাকশনের কাজ করতেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে তার মরদেহ পাই আমরা।’
নিহত সুধীর দাসের ছোট ছেলে শিশির দাস বলেন, ‘বাবা মাছ ব্যবসা করতেন। আজ খাবার খেতে গিয়ে তিনি পদদলিত হয়ে মারা যান।’ নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় তারা বাস করেন বলেও জানান শিশির।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন