রাজধানীতে বেপরোয়া ছিনতাই বাড়ছে। যখন তখন প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। আবার অনেকে আহত হয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে করুণ পরিণতি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম ঠেকাতে আরও তৎপর হতে হবে পুলিশকে। সূত্র- ডিবিসি নিউজ।
সম্প্রতি ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত তালহার পরিবারের কান্না আহাজারি এখনো থামেনি। ৮ অক্টোবর রাজধানীর টিকাতলিতে ছিনতাইকারীর হাত থেকে প্রতিবেশীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শাহজাহান রোডে ২৯ নভেম্বরে ছিনতাই এর কবলের পড়েন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ফারহাদ আলম। পরে ৫ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
তাদের মতোই আর একজন ডাক্তার সানজানা জেরিন। তিনি ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন এবং এখনো তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন।
ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ হারানো বা নির্মম ঘটনার শিকার এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এর বাইরেও অহরহ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমন কী আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরাও রক্ষা পাচ্ছে না ছিনতাইয়ের কবল থেকে।
সম্প্রতি তিন তিন বার রাজধানীতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ছিনতাইকারীরা তার পেছন থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে কথা না বলার জন্য বলে। ছিনতাইকারীরা বলে, কথা বললে মেরে ফেলবে। তারপর সব কিছু কেড়ে নিয়ে চলে যায়। তখন বাধ্য হয়ে সব কিছু দিয়ে দিতে হয় তার। কারণ যারা ছিনতাইয়ের শিকার হয় তারাই একমাত্র উপলব্ধি করতে পারে সেই মুহূর্তটা কেমন হয়।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, ছিনতাই ঠেকাতে সারা দেশে পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে। যেসব এলাকাগুলো অপরাধপ্রবণ বলে মনে হয় সেই এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে দিনে এবং রাতে টহলের ব্যবস্থা করতে হবে। ছিনতাইকারীরা কোথাও কোনো নতুন টিম তৈরি করছে কি না সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, ছিনতায়ের ঘটনাকে আমরা ওভারলুক করতে পারি না। এটা এখন একটি নিত্যনৈমেত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এই ব্যপারে সচেষ্ট আছি।
আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন