টিভি থেকে নেওয়া ঘটনাস্থলের ছবিচট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে মেজবান খেতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) নেওয়া হয়েছে।
হতাহতের বিষয়টি চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম, এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার বর্নি চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) নগরীর আসকার দিঘি এলাকার এস এস খালেদ রোডের রিমা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্যদের ধর্মাবলম্বীদের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কমিউনিট সেন্টারের গেট খুলে দেওয়ার পর হুড়োহুড়ি করে ঢুকতে গিয়েই এ ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা থেকে গেটটা একটু ঢালু হওয়াতেই লোকজন পড়ে যায়।
নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় এক লাখ মানুষের জন্য কুলখানি উপলক্ষে মেজবানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে সকালে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সকালে চাশমা হিলের বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মেজবানের ভেন্যুগুলো হচ্ছে, পাঁচলাইশ এলাকার ‘দ্য কিং অব চিটাগাং’, জিইসি’র মোড়ের ‘কে স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার’, চকবাজারের ‘কিশলয় কমিউনিটি সেন্টার’, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ‘সুইস পার্ক কমিউনিটি সেন্টার’, লাভ লেনের ‘স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টার’, মুরাদপুর এলাকায় ‘এন মোহাম্মদ কনভেনশন হল’, বাকলিয়ার কেবি কনভেনশন হল’, কাজির দেউড়ির ‘ভিআইপি ব্যাকুইট কমিউনিটি সেন্টার’ এবং ‘সাগরিকা স্কয়ার’, ডাবল মুরিংয়ের ‘গোল্ডেন টাচ কমিউনিটি সেন্টার’। এছাড়া ‘রিমা কনভেনশন সেন্টার’ এ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্যদের ধর্মালম্বীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের তিনবারের মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ ডিসেম্বর মারা যান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন