ডিজিটাল যুগে পিছিয়ে নেই ঢাকার লোকাল বাস। ব্যবহার করছে সিসি ক্যামেরা। দুর্বৃত্তের হাত থেকে বাস ও বাসের যাত্রীদের নিরাপদ রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহার শুরু করেছে ঢাকার এই গণপরিবহনটি।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সদরঘাট ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে মধ্য ঢাকা পেরিয়ে উত্তরা দিয়াবাড়ী রুটে চলাচলকারী ‘ভিক্টর ক্লাসিক’ পরিবহনের এ বাসটিকে সিসি ক্যামেরা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাসটির স্টাফদের দাবি, ছিনতাই কিংবা পকেটমারের উৎপাতের নজরদারির পাশাপাশি সড়ক দেখে নিরাপদে চলাচল করতেও সহজ হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে শনিবার রামপুরা ব্রিজ থেকে বাসটিতে উঠেই চোখ আটকে গেল চালকের পাশের সুইচ বোর্ডের উপর। প্রায় ছয় ইঞ্চি ব্যাসার্ধের মনিটরের ঝকঝকে পর্দায় দেখা যাচ্ছে ‘লাইভ’ ভিডিও। বাসের পেছনের রাস্তায় কোন পরিবহন আসছে, দূরত্ব কতোদূর, পেছনে কেমন গাড়ির চাপ- এসব কিছু ভেসে উঠছে সেই পর্দায়।
বাসের অন্য যাত্রীদের চোখও ওই পর্দায় আটকে গেছে। কৌতুহলী হয়ে জানতে চাইছেন যাত্রীদের অনেকেই। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় বাসের সুপারভাইজার মো. রুবেল জানালেন, এটা সিসি ক্যামেরার মনিটর।ডিজিটাল লোকাল বাস!ছবি: বাংলানিউজ‘মন্দ লোকও বাসে উঠে’ বলা তো যায় না, অঘটন ঘটতে পারে। ক্যামেরা চালু থাকলে সেই ভয় নেই। পেছনে ক্যামেরা, বাসের ভেতরেও ক্যামেরা আছে।
বাসের চালক ইমরান স্বাভাবিকভাবেই বাস চালাচ্ছেন, আর যখন বাস থামাচ্ছেন তখন একবার মনিটরে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন পেছনে অন্য পরিবহনের বাধা আসতে পারে কিনা- তা দেখে।
ক্যামেরা লাগানোতে বাস চালাতেও সুবিধা হচ্ছে বলে জানান ইমরান।
বাসের একজন যাত্রী বললেন, এটা ভালো উদ্যোগ।
বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব, ১৩-৩৩১৭) সুপারভাইজার রুবেল জানান, একমাস আগে একই মালিকের দু’টি বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছে বাস। তবে প্রতিটি সিসি ক্যামেরা বসাতে কত খরচ, তার বিস্তারিত রুবেল জানাতে পারেন নি।
ঢাকা সিটির মধ্যে বিভিন্ন রুটে একই রঙের যে বাস চলাচল করার উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন, তারই অংশ হিসেবে সিসি ক্যামেরা যুক্ত হচ্ছে বলে জানান
রুবেল।
রুবেল দাবি করেন, সিসি ক্যামেরাসহ নির্ধারিত অন্যান্য সব শর্ত পূরণ করলে বাসের কোনো ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দেবে সিটি করপোরেশন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন