বাংলাদেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় দূষণে। সারাবিশ্বে এই অনুপাত প্রতি ছয়জনে একজন। বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ (বায়ু, মাটি ও পানি দূষণ) মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ২৮ শতাংশই হয় পরিবেশ দূষণের কারণে। একই হার আফ্রিকার দরিদ্রপীড়িত দেশ সোমালিয়ার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলাদেশে বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অবশ্য বিশ্বজুড়েই অন্যান্য দূষণের চেয়ে বায়ুদূষণে মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। দূষণে মৃত্যুর দুই তৃতীয়াংশই হয় বায়ুদূষণে। ২০১৫ সালে বিশ্বজুড়ে ৬৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই দূষণে।
ল্যানসেট জানায়, ২০১৫ সালে দূষণে মোট মৃত্যু হয় বিশ্বের ৯০ লাখ মানুষের। এইডস, যক্ষা ও মলেরিয়ার কারণে মৃতের তুলনায় এই সংখ্যা তিনগুণ।
গবেষণা প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, দূষণের কারণে মৃত্যুহার বেশি দেখা যায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্য আয়ের দেশগুলোতে, যার মধ্যে আছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার।
অবশ্য সরকারের দায়িত্বশীল কয়েকজন অবশ্য ল্যানসেটের গবেষণার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী গণমাধ্যমককে বলেছেন, ল্যানসেটের গবেষণার বিষয়টি তাঁর জানা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে দূষণের বিভিন্ন দিক ও মৃত্যুর বিষয়টি বলা হলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত অনুপস্থিত। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে দূষণ রোগে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেন জানান এই মন্ত্রী।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন