যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার অপেক্ষায় বহুল প্রতিক্ষীত মালিবাগ-মৌচাক-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার সমন্বিত ফ্লাইওভার। উড়ালসড়কের এ অংশের মূল কাজ শেষ হয়েছে আগেই। এখন চলছে ধোয়ামোছা, রং, বিদ্যুতের খুঁটি ও বাতি লাগানোর মতো শেষ পর্যায়ের কাজ। ফ্লাইওভারের এ অংশের কাজ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে উড়ালসড়কটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে এখন আগামী ২৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দিনই এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার পাল জানান, ফ্লাইওভারের মূল কাজ (মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার) আগেই শেষ হয়েছে। ধোয়ামোছাসহ অন্যান্য কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের।
তিনি আরও জানান, আগামী ২৬ অক্টোবর উদ্বোধন শেষে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে এখনও আমি অফিসিয়াল চিঠি হাতে পাইনি।
এর আগে ২০১১ সালে একনেকে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়। ২০১৩ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
দেশে এখন পর্যন্ত যে কয়টি উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, তার মধ্যে এই উড়ালসড়কটি দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে দ্বিতীয়।
উল্লেখ্য, চার লেনের উড়ালসড়কটি ৬টি মোড় অতিক্রম করেছে। এগুলো হলো সাতরাস্তা, বিএফডিসি, মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগ মোড়। এর মধ্যে মগবাজার, মালিবাগ ও কাওরান বাজারের রেললাইন অতিক্রম করেছে এই উড়ালসড়ক প্রকল্প। আর এই উড়াল সড়কটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল। এটি নির্মাণ করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। গত বছরের মার্চ মাসে এ অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত উড়ালসড়কের এক দিক খুলে দেয়া হয়। এ অংশ নির্মাণ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন। তৃতীয় ধাপে গত ১৭ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) মোড় থেকে কারওয়ান বাজার অংশ খুলে দেয়া হয়। ওই অংশও তৈরি করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। এখন খুলে দেয়ার অপেক্ষায় উড়ালসড়কের মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন