ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গ্রামে ডাকাতি মামলাসহ গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা ইমরান মিয়ার মুক্তি চেয়েছেন আ.লীগ নেতা মতিউর রহমান। মতিউর গফরগাঁও উপজেলার যশোরা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি। ইমরান যশোরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং মতিউর রহমানের ব্যক্তিগত মোটরবাইকের চালক।
মতিউর বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা ডাকাতি করতে পারে না্,ইমরান সক্রিয় কর্মী ছিল। ইমরানসহ মামলায় যাদের নাম এসেছে তাদের রিরুদ্ধে এলাকায় পুর্বে এ ধরনের কোন অভিযোগ নাই। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইমরানের দ্রুত মুক্তি চেয়েছেন আ.লীগের এই নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে টেলিফোনে এসব কথা বলেন আ.লীগের নেতা মতিউর।
ছাত্রলীগ নেতা ইমরানকে মঙ্গলবার রাতে ডাকাতি করা মোবাইল ও নগত টাকাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ডাকাতির পরেই এলাকাবাসী ইমরানকে হাতেনাতে আটকের পর গণধোলাই করে পুলিশেকে খবর দেয়।পরে বিকাশ এজেন্টের মোবাইল ও টাকা ডাকাতির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমরানকে পরে গ্রেফতার করে । পুলিশ ইমরানের কাছে রক্ষিত একটি ব্যাগ থেকে ডাকাতি হওয়া ১১ টি মোবাইল ও নগত ৬১ হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে।
ইমরানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মামলা
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মঞ্জুরুল হক বাদীর এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মঙ্গলবার রাত দশটার গফরগাঁ ও বাজারের বিকাশ এজেন্টে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মুক্তা বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পারা ভরট গ্রামে ইমরান ও অপর তিন সহযোগী মিলে অস্ত্র নিয়ে মুক্তারকে গতিরোধ করে মোবাইল ও টাকা লুট করে নেয়। এ সময় মুক্তারের চীৎকারে এলাকাবাসী ইমরানকে ধরে গণধোলাই দিয়ে আটক করে পুলিশে খবর দেন। থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় ইমরান নিজের সম্পৃক্ততা ও অপর তিনজনের নাম প্রকাশ করে।তারা হলেন পারভেজ খান, রিয়াদ মন্ডল ও সাইফুল ইসলাম।
পারভেজ যশোরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।অপর দু”জন তাদেরই সহযোগী। পরে মনিরুজ্জামান মুক্তা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। বুধবার বিকালে ইমরানকে জেল হাজতে পাঠায় গফরগাঁ ও পুলিশ ।পুলিশ ডাকাতির ঘটনায় অন্য তিনজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলেও জানান এসআই মঞ্জুরুল হক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন