যুদ্ধবিগ্রহ করে পশ্চিমারা সংকট সৃষ্টি করেছে, এখন ওয়াশিংটন থেকে এসে পরামর্শ দেয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তার কোনোটাই নিজেদের সৃষ্টি নয়। সবই বিদেশ থেকে এসেছে। মূল্যস্ফীতি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া গরিবের কষ্টের কারণ। সবই পশ্চিমারা সৃষ্টি করেছে। এখন আবার তারা এসে বুদ্ধি দিচ্ছে কীভাবে দেশ চালাতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে) পেট্রোবাংলায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞরা কেউ এটা বলেন না, এটা খুবই লজ্জার। সামনে আরও চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে সে ইঙ্গিত দিয়েছেন।’
সেমিনারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আজ বিশ্বে যারা উন্নত হয়েছে সবাই খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভর করে। আমাদের যতটুকু সম্পদ রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞানীরা অনেকে নীরবে কাজ করেন, কিন্তু সেগুলো পরে আর আমাদের পর্যন্ত সেভাবে আসে না। আপনারা রিপোর্ট করে নিয়ে বসে থাকেন। কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করে দেন।’
তিনি বলেন, ‘একটা বিভাগ আবিষ্কার করছে, আরেক বিভাগ লাইসেন্স দিচ্ছে, আরেক বিভাগ ব্যবসা করছে। তাহলেতো আবিষ্কারের জন্য আমাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। আপনারা কী চান সেটাতো আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক সময় গেছে, এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। দেশের খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জিএসবিকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করতে হবে। এসব প্রস্তাব আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসা উচিত।’
সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম বলেন, ‘তাত্ত্বিক বিষয় আলোচনা করলে হবে না। তাত্ত্বিক দিকের পাশাপাশি প্রায়োগিক বিষয় যুক্ত থাকতে হবে। প্রকল্পটি কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে তার দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলেই আর্থিকভাবে সফল প্রকল্প নেওয়া সম্ভব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন