সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ফিলিস্তিনপন্থি একটি কন্টেন্টে লাইক দেয়ার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মুম্বইয়ের একটি শীর্ষস্থানীয় একজন প্রিন্সিপাল পারভীন শেখকে। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি তিনি স্কুলের মূল্যবোধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডে যুক্ত। এমন অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনপন্থি কন্টেন্টে লাইক দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনা তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ওই স্কুলটির নাম সোমাইয়া স্কুল। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পারভীন শেখের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ড প্রতিষ্ঠানের একতা এবং সবার অংশগ্রহণমূলক যে নীতি আছে তার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। এ নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তকে ভুল এবং অন্যায় বলে অভিহিত করেছেন মিস পারভীন।
তিনি এনডিটিভিকে বলেছেন, আমাকে বরখাস্তের নোটিশ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। এই বরখাস্তের নোটিশ পুরোপুরি বেআইনি এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটিয়ে মানহানি করা হচ্ছে।
স্কুলের প্রিন্সিপাল হিসেবে আমার দায়িত্ব ব্যতিক্রমী। শুধু ওই কারণে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে ভুল ও অন্যায়ভাবে। ১২ বছরের বেশি সময় ধরে কঠোর শ্রম, আত্মনিবেদন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে পাবলিক অসত্য প্রচারণার ওপর ভিত্তি করে যে প্রচারণা হচ্ছে, তাতে কর্তৃপক্ষ আমার পাশে দাঁড়ায়নি। পক্ষান্তরে তারা আমাকে শিকারে পরিণত করেছে। এটা ভয়ঙ্কর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, সাত বছর আগে ওই স্কুলের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব নেন পারভীন শেখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার কারণে তাকে এর আগেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সুমাইয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ বিষয়ে মিস পারভীন শেখের কাছ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তারা তার জবাবের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু পারভীন শেখ বলেন, তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। তার ভাষায়, আমাদের আইনি ব্যবস্থা এবং ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন