তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আমাদের দেশে গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা, নিয়ন্ত্রণ বা আইন-কানুনের কোনো কিছু নেই। মুক্ত গণমাধ্যম না উন্মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশে।
শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত 'গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতার যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার রোধ হবে। আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে।
বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার এ বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে আরাফাত বলেন, আমরা প্রকৃতপক্ষেই মনে করি, গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন।
গণমাধ্যমের সুরক্ষা ও গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং সেটি থাকবে উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক বিষয় আছে, তেমন তথ্যের সঙ্গেও আমরা অপতথ্যের বিস্তৃতি আমরা অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অপসাংবাদিকতাও আমরা দেখি। এটি কিন্তু শুধু আমি বলছি না, আমার সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সাংবাদিকেরা সঠিক তথ্য দিয়ে পরিবেশ নিয়ে প্রতিবেদন করবেন, তাদের পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অপসাংবাদিকতার চর্চা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলোর অনলাইনের লিস্ট, অনলাইন পোর্টালগুলোর লিস্ট আমি চেয়েছি। এর বাইরে আরও অনেক নিবন্ধনহীন গণমাধ্যম আছে। সবার দাবি, এগুলো বন্ধ করা। এপ্লিকেশন করা থাকলে চালু থাকবে। না হলে বন্ধ। সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছি।
১৭ কোটি মানুষের এ দেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সরকারের অগোচরে অনেক ঘটনা ঘটে। শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয়, মুক্ত গণমাধ্যেমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতেও সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন