১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘‘শুধু পণ্য বর্জন নয় ভারতের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জনই নয়, বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীকারের লক্ষ্যে দেশের জনগণ ঘরে ঘরে নীরবে প্রস্তুত হচ্ছেন।’’
সোমবার ময়মনসিংহ মহানগরীর চরপাড়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণকালে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের সহযোগিতার পরও তাদের আগ্রাসন ও দাদাগিরির বিরুদ্ধে আজকে বাংলাদেশের জনগণ ফুসে উঠেছে। দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যেয়ে একটি দলের পক্ষে অবস্থান, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা এবং আগ্রাসনের প্রতিবাদে তাদের পন্য বর্জনের আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তার রক্তাক্ত সীমান্ত, অধিকৃত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আবারও একটি মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত। দেশের মানুষ গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে জোট নেতারা বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ভারতের ৫২৭টি পণ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে পণ্যগুলো নিষিদ্ধ করেছে। আরেকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় দুটি ওষুধে ক্যান্সারের মিশ্র উপাদান পাওয়ায় হংকং ও সিঙ্গাপুরে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
নেতারা বলেন, ‘আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই আমরা সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব চাই কিন্তু যে বন্ধু আমাদের হত্যা করবে শোষণ করবে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করবে তার সঙ্গে কখনোই বন্ধুত্ব হতে পারে না।’
সীমান্ত হত্যার নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘সীমান্তে প্রতিদিন পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশীদের হত্যা করা হচ্ছে যদি বন্ধু হও প্রতিবেশী হও তাহলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।’
জোট নেতারা আরও বলেন, ‘আমরা আগ্রাসন মানি না, সীমান্ত হত্যা মানি না। সুতরাং গণতন্ত্র হত্যাকারীদের বয়কট করতে হবে, ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। এই আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ রওনক ইব্রাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি—জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
জোট নেতারা মার্কেটের দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন