গতকাল শুক্রবার ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। প্রতিটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীরা ভুল প্রশ্ন নিয়ে দ্বিধা–দ্বন্দ্বে থাকেন। এবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্নে ভুল আছে কি না, ভুল থাকলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কী করে—এসব বিষয় নিয়ো আলোচনা হচ্ছে।
প্রশ্নে ভুল থাকলে পিএসসি আসলে কোন পন্থা অবলম্বন করে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস আজ শনিবার জানান, ‘এ পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএসে প্রশ্নে ভুলের কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি অভিযোগ আসে, আমরা সেটি খতিয়ে দেখব। সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ এলে আমরা সেটি আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাচাই করি। এরপর একটি বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে তা যাচাই করাই। যদি ভুল পাই, তাহলে সেই প্রশ্নের নম্বর কাটা হয় না। সবাই নম্বর পান। এবারও যদি এমন হয়, তাহলে সবাইকে ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়া হবে। সেটিতে যে অপশনেই টিক মার্ক দিক না কেন, তা দেখা হয় না। কেউ বঞ্চিত হন না। সবাই মার্কস পান।’
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আয়োজিত এই পরীক্ষায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এই পরীক্ষা হয়।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশ। সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এই ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন