যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছে ইরান। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতি বেপরোয়া সমর্থন দেওয়ার জন্য মার্কিন সরকারকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেছে ইরান।
গতকাল রবিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান তেহরান সফররত ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ বদর আলবুসাঈদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ইরানেরএশীর্ষ কূটনীতিক বলেন, ‘মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জাস্টিন তেল আবিব সফর করে ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশগ্রহণ করার পর ইহুদিবাদী সরকার নতুন উদ্যোমে গাজাবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ রক্ষা করার আহ্বান জানাচ্ছে কিন্তু গোপনে তারা গাজাবাসীর ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালানোর সবুজ সংকেত দিচ্ছে। ইসরায়েলকে সমর্থনে এই দ্বিচারী আচরণের জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েলি সেনারা শুধুমাত্র বিগত দুই দিনে গাজা উপত্যকার ৮০০ নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একদিন আগে প্রতিরোধ নেতাদের কাছ থেকে এই বার্তা পেয়েছি যে, গাজায় গণহত্যা অব্যাহত থাকলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে এবং এ অঞ্চল একটি অনুমেয় নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে। কাজেই আমরা যথেষ্ট দেরি হয়ে যাওয়ার আগে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য সকল যুদ্ধবাজের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘আল-আকসা তুফান অভিযানে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো এমন কিছু দলিল জব্দ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েল সরকার পুরো গাজাবাসীকে মিশরে এবং পশ্চিম তীরের সকল ফিলিস্তিনিকে জর্দানে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মিশর সরকার তেল আবিবের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলবুসাঈদি বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত গাজাবাসীর উপর চলমান গণহত্যা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন