কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার অনেক দূরত্ব আছে। আমি দল করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। আওয়ামী লীগ সত্যিই একটি মস্ত বড় দল। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে গ্রাস করেছে। তার সুফল আওয়ামী লীগ গ্রহণ করছে। এটা অনেক দিন করতে পারবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগের চাইতে সুসংগঠিত দল হতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চাইতে আওয়ামী লীগের সুবিধা বেশি হবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলে এক কর্মী সভায় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। শহরের সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে এ সভার আয়োজন করে কৃষক শ্রমিক লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখা। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘এমপি হওয়ার জন্য, মন্ত্রী হওয়ার জন্য, সরকারে যাওয়ার জন্য বা টাকাপয়সা বানানোর জন্য আমি দল গঠন করিনি। এখন লুটপাটের সময়। সে জন্য অনেকের মনে হতে পারে, আমাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন করা, এমপি হওয়া, সরকারে যাওয়া। অনেকে মনে করেন, সরকারে না গেলে কিছুই করা যায় না, ক্ষমতা হাতে না থাকলে কিছুই করা যায় না। আমি এ ধরনের রাজনীতি কখনো করি না, ভবিষ্যতে যে কখনো করব, এটা গ্যারান্টি দিয়ে কেউ বলতে পারবে না।’
গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায়
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু, আমাদের পিতা বঙ্গবন্ধু, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগও বলবে, তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করলে, যারা বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া তুলে নিতে চায়, তাদের দলে রাখত না, মাথায় তুলত না। বঙ্গবন্ধু ’৭৫ সালে মারা গেছেন। যারা এই মৃত্যুর জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, রাস্তা বানিয়েছে, সেই জাসদের গণবাহিনীকে তারা মাথায় নিত না।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, তিনি নৌমন্ত্রী ছিলেন একসময়। কত আওয়ামী লীগের লোক মেরেছে, কত মুক্তিযোদ্ধা যে মেরেছে, তার হিসাব নেই। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগ তাদের নিত না।
আয়োজক সংগঠনের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল হালিম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. আবদুল্লাহ বীর প্রতীক, সদস্য শামীম আল মনসুর সিদ্দিকী, মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন