কোনও প্রশ্ন ছাড়াই বাড়ি কেনার সুবিধা! তাই বাংলাদেশের টাকা লুটেরাদের জনপ্রিয় দেশ এখন মালয়েশিয়া। বর্তমানে দেশটির মাই সেকেন্ড হোম প্রজেক্টে মোট বিনিয়োগকারীর ১০ শতাংশ বাংলাদেশি। বাড়ি কিনেছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্লেষকরা বলছেন এসব অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির পাশাপাশি সুশাসন ফিরিয়ে আনা গেলেই কেবল কমবে দুর্নীতি বন্ধ হবে অর্থ-পাচার। আর টিভি
দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের সূত্র বলছে, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট পর্যটন দেশ মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রজেক্টের সুবিধা নিয়ে শুধু বিলাসবহুল ফ্ল্যাটই কিনেননি রীতিমতো গড়ে তুলে ছিলেন ক্যাসিনো সাম্রাজ্য।
শুধু সম্রাটই নন দেশের টাকা লুট করে মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছেন চার হাজারের বেশি বাংলাদেশি। দেশটির সরকারের দেয়া সবশেষ তথ্যে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেকেন্ড হোমে বিনিয়োগকারীদের তালিকায় উন্নত রাষ্ট্র চীন ও জাপানের পরেই রয়েছে স্বল্পোন্নত বাংলাদেশের নাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, কষ্ট করে আয় করা টাকা বাহিরে যায় না। কিন্তু যখন অবৈধ উপায়ে আয় হয় তখন সেগুলো বাহিরে পাঠিয়ে দেয়।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, দেশটিতে বৈধ উপায়ে টাকা নেয়ার কোনও উপায় নেই। পাচারের বড় মাধ্যম হুন্ডি ও ডিজিটাল ব্যাংকিং।
মালয়েশিয়ার এনবিএল সিইও শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে একজন একবার বা দুবার টাকা পাঠাতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে একজন মানুষ দিনে একশ বারের চেয়ে বেশি টাকা পাঠাচ্ছে।
দেশের অর্থ লোপাট করে বিদেশে বসতি স্থাপনকারীদের ঘৃণার চোখে দেখেন প্রবাসীরা।
কুয়ালালামপুর ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এ টি এম ইমদাদুল হক বলেন, আমরা এদের ঘৃণা করি। কারণ এরা দেশে অবৈধ ভাবে টাকা আয় করে। আবার এরা অবৈধভাবে বিদেশে টাকা নিয়ে আসে।
পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশকে আমরা যদি গুড গভর্নেন্স হিসাবে তৈরি করতে পারতাম তাহলে আমাদের দেশের ছেলেরা দেশের বাহিরে থাকতো না। সন্তানেরা যদি ফিরে আসতো তাহলে দ্বিতীয় হোমের দরকার পড়তো না।
বিশ্লেষকদের দাবি অবৈধ অর্থ উপার্জন ও পাচার ঠেকাতে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন