আজ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে বাইডেন-কমলা হ্যারিস যুগ। আজ ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন জো বাইডেন। ডেমোক্রেটদের হোয়াইট হাউস দখলের সাথে সাথে বাংলাদেশে কিছু ব্যক্তির সক্রিয় হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরা নানা সূত্রে ডেমোক্রেট পাটির সংগে ঘনিষ্ঠ। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে এরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন বলে অনেক কূটনীতিক মনে করছেন। ২০১৭ সাল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুগে এরা খুব একটা প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেননি, মার্কিন নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। কিন্তু এবার তারা পারবেন বলে মনে করছেন। এরা বর্তমান সরকার বিরোধী হিসেবে পরিচিত। নানা কারণেই ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এরা মার্কিন প্রশাসনকে ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন:
১. ড: মুহম্মদ ইউনূস: শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড: মুহম্মদ ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে, ২০১৬র নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় তাকে কিছুটা হলেও বেকায়দায় ফেলেছিল। ট্রাম্প প্রশাসন ড: ইউনূসকে হোয়াইট হাউসে একবারও আমন্ত্রণ জানায় নি। ড: ইউনূসের প্রভাব বলয় ডেমোক্রেটদের মধ্যেই বেশী। তাই এবার নির্বাচনে ডেমোক্রেট জয়জয়কারে ড: ইউনূস আন্দোলিত। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রভাব বাড়তে পারে। আর এটা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে।
২. বিচারপতি এস.এক সিনহা: নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে, তিনি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে বলে তিনি দাবী করেন। বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এক গাদা অভিযোগ নিয়ে তৈরী হয়েই আছেন ড: ইউনূস।
৩. ড: কামাল হোসেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছুটা হলেও প্রভাবশালী ড: কামাল হোসেন। এবার তার প্রভাব একটু বাড়তেই পারে। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার ছাত্রী। তবে, মার্কিন নীতি নির্ধারক মহলে তার প্রভাব কতটুক থাকতে পারে, তা নিয়ে সংশয় আছে অনেকের।
৪. ড: বদিউল আলম মজুমদার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব সময় একটা যোগাযোগ রক্ষা করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তার জানাশোনা আছে। তবে, তার সখ্যতা ডেমোক্রেটদের সঙ্গেই বেশী।
অবশ্য কূটনীতিক মহল মনে করেন, ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনো দুই রাষ্ট্র বা সরকারের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে না। বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক নির্ভর করবে দুদেশের নীতি ও কৌশলের উপর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন