চাঁদপুরের মতলবে মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে নেমে জেলেদের অতর্কিত হামলায় ছোড়া ইটপাটকেলে পুলিশের ২৫ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মেঘনার রাজরাজেশ্বর অংশে পুলিশের সঙ্গে জেলেদের এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
রবিবার ভোর থেকে ৫টি স্পিডবোট নিয়ে প্রায় ৮০ অধিক পুলিশ সদস্য মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুরের মতলব উত্তর অঞ্চল ও শরীয়তপুরে অভিযান চালায়। এ সময় জেলেদের ২শতধিক নৌকা আটক করে মেঘনা নদীতে ডুবিয়ে দেন।
গুরুতর আহতরা হলেন- নৌ-পুলিশের এসপি মো. হেলাল উদ্দিন (৫৪), নৌ পুলিশের পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম (৪০), নায়েক ইকবাল (৩৪), শাহজালাল (৩০), কনস্টেবল আমিন (৩৪), ফেরদৌস শেখ (২৮), নিলয় (২৮), আল মামুন তালুকদার (২৮), মোনায়েম (২৮) সহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, মা ইলিশের নিরাপদ বিচরণ ও ডিম ছাড়ার জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সাগরের মোহনা এবং ইলিশ চলাচলকারী নদনদীতে সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেরা মাছ ধরতে গেলে প্রশাসনের অভিযানে বিপুল পরিমাণে কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়।
নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মেঘনার লক্ষ্মীরচর এলাকায় অনেক জেলে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে দেখেতে পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের এক পর্যায়ে জেলেরা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। এ সময় তার পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়লে ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা ৪৭ রাউন্ড গুলি ছুড়েন এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জড়িত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ফরিদা ইয়াসমিন।
এদিকে গতকাল শনিবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদী থেকে সাত জেলেকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওমর ফারুক, কামিল হোসেন, মু. রুবেল, মু. খলিল, শাহ জালাল, নবির হোসেন, ও মাহফুজ আলম। তাদের গ্রেফতাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মু মোজাহিদুল ইসলাম।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন