করদাতাদের গোপনীয় সব তথ্যই এখন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের হাতে। সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের কাছেই রয়েছে এমন তথ্য। এছাড়া নিরাপত্তায় ১১টি ঝুঁকি আর ২৯টি দুর্বল দিক নিয়ে ভিয়েতনাম প্রকল্পটি শেষ করলেও তাদেরকে প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে, রাজস্ব বোর্ড বলছে, এমন কোন ঝুঁকি নেই।
তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ভিয়েতনাম। বাণিজ্যের আরো অনেক শাখায় প্রতিযোগী দেশটি।
অথচ দেশের করদাতাদের অতি গোপনীয় সব তথ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন ভিয়েতনামের হাতেই। অবিশ্বাস্য হলেও, এনবিআরের সরকারি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প-এসজিএমপিতে ঘটেছে এমনটাই।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের রাজস্বখাতের একটা হার্ট প্রকল্প তাদের হাতে।’
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন বিভাগ আইএমইডি প্রকল্পটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হচ্ছে, প্রকল্পে রয়েছে ১১ টি ঝুঁকি এবং ২৯ টি দুর্বল দিক। শেষ হয়েছে ২০১৮ সালে, কিন্তু ভিয়েতনামভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান এফপিটি কর্পোরেশন তা আজও বুঝিয়ে দেয়নি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। তারপরও পরিশোধ করা হয়েছে সফটওয়্যারের সম্পূর্ণ বিল।
যদিও, আইএমইডির এই প্রতিবেদনকে ভুল বলছে, এনবিআর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য হাফিজ আহমেদ মুর্শেদ বলেন, তথ্য ভাণ্ডারে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও তা করবে না ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠানটি।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বললেন, চাওয়া অনুযায়ী হয়নি কিছুই। বরং অপচয় হয়েছে অর্থের।
৭৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে, ২০১১ সালে অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো এসজিএমপি প্রকল্পের, যা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০১৩’র ডিসেম্বরে। তিনবার সংশোধনী এনে সাত বছর পর এনবিআর যা শেষ করে ২০১৮ সালের জুনে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন