কাশ্মীরে নিখোঁজ তিন ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সাজানো অভিযানে তাদের হত্যা করেছে।
এ অভিযোগের মধ্য দিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আবারও সামনে এলো।
গত বছর ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে পুরোপুরি দিল্লির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ভারতের বিজেপি সরকার।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরে একের পর এক অভিযানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
গত জানুয়ারি থেকে সেনা অভিযানে একশ'রও বেশি কাশ্মীরি নিহত হয়। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ আনা হয়।
আলজাজিরা জানায়, ১৮ জুলাই দক্ষিণ সোফিয়ান জেলায় ভারতীয় বাহিনী এক অভিযানে নিহত হন তিন কাশ্মীরি তরুণ। সম্পর্কে তিনজনই ছিলেন কাজিন।
নিহতদের পরিবার জানায়, অভিযানের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেখে ওই তিনজনকে শনাক্ত করেন তারা।
একজনের বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তাদের সামান্যতমও সম্পর্ক ছিল।
তিনি জানান, ১৭ জুলাই তার ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় স্ত্রীর। পরদিন থেকে তিনজনের ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে দাবি করে, নিহত তিনজন 'পাকিস্তানি সন্ত্রাসী'। অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হন।
তাদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য ফোনের কল লিস্ট ও কল রেকর্ড চেক করারও আহ্বান জানান ইউসুফ।
নিহত তিন তরুণ আবরার খাতানা (১৮), ইমতিয়াজ আহমেদ (২১), আবরার আহমাদ (২৫) কাজের সন্ধানে ১৬ জুলাই ঘর থেকে বের হয়েছিলেন।
দক্ষিণ জেলা রাজৌরির বাসিন্দা এই তিন তরুণ কাশ্মীর শহরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু একদিন পর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবার।
তাদের একজনের ভাই নাসিব খাতানা বলেন, আজকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেখে তাদের আমরা শনাক্ত করেছি। আমরা এই হত্যার বিচার চাই এবং তাদের মরদেহ ফেরত চাই।
এদিকে অভিযোগ পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন