মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে বগুড়া নন্দীগ্রামে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বসছে হাট। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে অত্র উপজেলার লোকজন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, জনসচেতনতা, তারপর জরিমানা করার পরও লোকজন সচেতন হচ্ছেন না।
নন্দীগ্রাম পৌর শহরে সাপ্তাহিক হাট বসে প্রতি মঙ্গলবার। তবে হাট বেচা বিক্রি চলে সারাদিন। সেই ধারাবাহিকতায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাপ্তাহিক হাট বসানো হলেও এবার ভোররাত থেকে শুরু হয় কেনাকাটা। অল্প সময়ে হাটে কেনাকাটায় উপচে পড়া ভীড় ছিল।
ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরেনের পণ্য সাজিয়ে বসেছিলেন। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ। ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল না কারোই। এ কারণে আতঙ্কে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাজার করতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, হাট না করলে পরিবার নিয়ে খামু কি? আমাদের তো একত্রে এক মাসের বাজার করার টাকা নাই। আলু বিক্রি করতে আসা ঠান্ডু নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, হাটে আসা ও লোক সমাগমে যাওয়া নিষেধ জানি। কিন্তু কি করবো। টাকার প্রয়োজন, হাটে এসেছি। তাই শত বিপদের মাঝেও হাটে আসতে হয়েছে।
এ দিকে গত মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট বসানো হলে উপজেলা প্রশাসন হাটটি ভেঙে দেয়। পরে পৌরসভার পক্ষ থেকে পূনরায় মাইকিং করে হাট বসাতে নিষেধ করা হয়। সেই মাইকিং অমান্য করে ফের হাট বসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল বলেন, সাধারণ লোকজন সচেতন না হলে কিছু করার নাই। বার বার মাইকিং করে হাট বসাতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরেও হাট বসছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন