২০২০ সালে এসেও ভারতে মুসলিমদের উপর এমন হত্যাযজ্ঞ চালানো হবে তা হয়তো অনেক সোকল্ড সেক্যুলাররাও ভাবেননি। কিন্তু এই হত্যাযজ্ঞের গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে বহু আগেই। দিল্লীতে এখন যা চলছে- এটাকে ট্রায়াল ভার্সন বলতে পারেন। ধীরে ধীরে তা গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়বে। তবে এটাকে রায়োট বা দাঙ্গা বলবেন না; এটা স্রেফ হত্যাযজ্ঞ।
রায়ট বা দাঙ্গা বলা হয় তাকেই- যখন উভয় পক্ষ আক্রমণ করে। কিন্তু এখানে কেবল এক পক্ষই আক্রমণ চালাচ্ছে। মোদি ও অমিত শাহর গেরুয়া পতাকাধারী বিজিবি ও আরএসএস-এর সন্ত্রাসী এই হামলা চালাচ্ছে। তারা বেছে বেছে মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে। মসজিদগুলো ভাঙ্গচুর করা হচ্ছে, আগুন দেওয়া হচ্ছে। মসজিদের মিনার থেকে চাঁদ তারকা খুলে সেখানে ভারতের পতাকা লাগানো হচ্ছে।
এই পতাকা লাগিয়ে তারা এটাকে ভারতের মানুষের সার্বজনীন মত প্রমাণ করতে চাচ্ছে। কিন্তু ভারতে আপামর সাধারণ জনতা তাদের এহেন কাজ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা মুসলিমদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটতারাজ চালাচ্ছে, আগুন দিচ্ছে এবং নারীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। অন্যদিকে মুসলিমরা কেবল নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই প্রহর গুনছে। আক্রমন থেকে রেহাই পাচ্ছে না ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও। তারা বেছে বেছে মুসলিম মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে, লুটতারাজ চালাচ্ছে। পরিশেষে সেগুলোতে আগুন দিয়ে নিঃশ্বেষ করে দিচ্ছে।
এটাকে রায়ট বা দাঙ্গা বলে না। এটাকে হত্যাযজ্ঞ বলে। আর এই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে গেরুয়া পতাকাধারীরা। এই হত্যাযজ্ঞের পিছনে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করছে- ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুখ্যাত অমিত শাহ। যে অমিত শাহ আর মোদির হাতে গুজরাটের মুসলিমদের রক্ত লেগে আছে- তারা যে ভারতের মুসলিমদের নিরাপদে থাকতে দিবে না, তা চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায়। এরপর তারা আরও ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠবে।
গেরুয়া পতাকাধারী হিন্দুদের দ্বারা মুসলিমদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।
আল্লাহ না করুন, এই ঘটনা যদি কোনো মুসলিম দেশ ঘটাতো! সংখ্যালঘুদের মুসলিম দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতো- তা হলে এতোক্ষণে হয়তো সেই দেশের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করা হতো। আর ন্যাটোর বিমানগুলো সেই দেশের বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার জন্য ক্ষণ গুনতো!
যেমনটা আমরা আফগানিস্তানে দেখেছিলাম। আফগান তালেবানরা কেবল কয়েকটি মূর্তি ভেঙ্গেছিল। সম্ভবত সেগুলো কয়েকশ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তি ছিল। সেই মূর্তির জন্য পশ্চিমা দুনিয়ার সেকি কান্না! অথচ আজ ভারতে মুসলিমদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছে। মসজিদগুলোতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, মুসলিম মা-বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে- কিন্তু জাতিসংঘ নীরব! পশ্চিমা বিশ্ব নীরব। আমেরিকা নীরব।
পশ্চিমা দুনিয়ার কাছে মূর্তির জন্য মায়াদয়ার অভাব হয় না, অথচ মানুষদের জন্য সামান্য মায়া-দয়াও নেই! কারণ, তারা যে মুসলিম।
আমার দেশ পত্রিকার মাহমুদুর রহমান ঠিকই বলেছিলেন- মুসলিমদের মানবাধিকার থাকতে নেই। আজ গোটা বিশ্বেই মুসলিমদের নামমাত্রও মানবাধিকার নেই।
পাঠক মন্তব্য
The New York Times Published a Picture which is similar to "logi boita ". Sad stories but most important is to have a contingency plan. What if it happens to border with Bangladesh's border area ? What if COVID-19 (coronavirus) comes to Bangladesh ? What is the planning ?
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন