ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে চলতি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করছেন ইয়ন মরগ্যানরা।
চলতি বিশ্বকাপে লর্ডসে হওয়া সবগুলো ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দল কখনো হারেনি। তাই টস জিতে ব্যাট করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আজ রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়।
২০১৫ ও ২০১১ বিশ্বকাপ দুঃস্বপ্ন ছিল ইংল্যান্ডের জন্য। আগের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে ছিটকে পড়ে তারা কোয়ার্টার ফাইনালের আগে। গত চার বছর ইংল্যান্ড পরিশ্রম করেছে দারুণ একটি দল গঠনে।
মরগ্যান গতকাল লর্ডসের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের ড্রেসিংরুমে পরিবেশটাই অন্যরকম। অনেক বড় ব্যাপার। বিশ্বকাপ ফাইনাল বলে কথা। আমার মনে হয় পুরো দেশ ও সমর্থকরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে। এবার আর ব্যর্থ হওয়া চলবে না। আমাদের দলটি গড়তে কষ্ট করতে হয়েছে। চার বছরের পরিশ্রমের ফসল এটি।'
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে। আর সেটি আবার লর্ডসের মতো ভেন্যুতে। মরগ্যান বেশ আপ্লুত, ‘ফাইনাল নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। ঘরের মাঠে হওয়ায় এটি ভালো হয়েছে। আমরা অনেকটা নির্ভার থাকতে পারব'
আবারও শিরোপা থেকে আর একটি ম্যাচ দূরে নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে হতাশ হতে হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনকে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুবিধা করতে পারেনি সেবার কিউইরা। আরও একবার দারুণ সুযোগ এসেছে সামনে। এবার পা হড়কানোর কোনো সুযোগ রাখা উচিত নয়।
কিউই অধিনায়কের মতে, ফাইনালে যে ভালো করবে তারই সব। এ প্রতিযোগিতায় সবাই সবাইকে হারিয়ে দিতেই পারে। নিউজিল্যান্ড ফাইনালে ইতিবাচক খেলবে। কেন বলেছেন, ‘আমাদের দুটি দলের অনেক পার্থক্য। আমরা দুটি ভিন্ন অঞ্চলে ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছি। গত ৪ বছরে আমাদের পরিবর্তন হয়েছে ভিন্নভাবে। আমাদের মিল খুঁজে পাওয়াটা কঠিন হবে। ফাইনালে উঠতে পেরে ভালো লাগছে এটা ঠিক।'
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন